Lantern
Some things come to light: a patch of grass, some dirt,
a few bamboos stooping to touch the earth, a cactus fence and then
all of a sudden, a dark pond beside a darkened hut.
The lantern’s shadow cuts through a banana plant in the courtyard,
the light moves on
alarming a jackal behind the abandoned temple
frightening a fruit-bat to rain dewdrops on dry leaves in flight.
In lantern-light, the world of pictures flits by.
Another lantern, a different kind, moves into a vast desolate field.
While light crosses centuries, darkness tiptoes behind
to reclaim what’s lighted, at light’s speed.
That’s where ancient civilizations vanished – a place
that remains inside a lantern’s shade.
Inside My Camel’s Shadow
I walk, holding the rope.
My camel walks behind, indifferent
to its motley load – the odds and ends of my life.
I walk toward the line
that surrounds me on all sides
separating the emptiness of the earth
from the emptiness of the sky.
Sometimes, in the fiery haze
a date-palm rises from the sandy waves.
Sometimes, the sky’s conjurer casts shade: a patch of green
beside a shimmering river on the horizon.
Am I lost?
Or is this the path I need to walk,
lined with sun-bleached bones
old travelers’ final destinations?
Here, sand stretches over sand
into silence beyond.
Still, I keep walking, with my camel behind.
I lead him on, my idea of life.
I pull him toward the horizon
beyond the horizon.
Death Wish
Move back a bit. Move away and you’ll see the whole, clearly.
If you sit in its shade, how will you cherish
the tree’s beauty? If you sit here, how can you see the picture
which the river meandering through distant paddy fields
paints with sunlight and water?
If you seek depth you have to wind your way up the mountain
and look down from a ledge.
To see completely, birds fly against high clouds.
That’s why, at times, I too think of erasing the boundary-line of life
to merge with the silence around and see my abandoned house
with new eyes, watch a rose blooming in its courtyard reborn
in a new day’s light.
On overcast evenings when clouds are tinged with red
I have such fearful wishes.
লণ্ঠন
প্রকাশিত হয় খুব সামান্য বিষয় – কিছু ঘাস মাটি
নিচু বাঁশতলা,
মনসা কাঁটার বেড়া, তার পাশে হঠাৎ-পুকুর,
গ্রামের কুটীর কোন। উঠোনে সবুজ কলাগাছে
লণ্ঠনের ছায়া পড়ে…আলো সরে যায়…
ভাঙা মন্দিরের দিকে চকিত শিয়াল, আর বাদুড়ের পাখা,
ঝটপট উড়ে যায় বনতলে শিশির ঝরিয়ে…
লণ্ঠনে দেখি না কোন চিরস্থায়ী ছবির ভুবন।
বিশাল নির্জন মাঠে নেমে যায় আরও এক লণ্ঠনের আলো :
শতাব্দি পেরিয়ে যত দূরে যায় – নিঃশব্দে আবার
অন্ধকার চলে আসে সমান গতিতে!
প্রাচীন সভ্যতাগুলি এ-ভাবেই অদৃশ্য হয়েছে পায়ে-পায়ে …
লণ্ঠনের পিছনে কোথাও !
উটের ছায়ায় একজন মানুষ
দড়ি ধরে একা পথে হেঁটে যাই –
আমার পিছনে আসে উট:
তার পিঠে ধুলোমাখা সংসারের টুকিটাকি, উদাসীন বোঝা…
চারিদিকে শূন্যরেখা – আমার পৃথিবী মরুভূমি:
ক্বচিৎ কোথাও
স্তব্ধছবি খর্জূর গাছের কিছু ক্ষীণ দূরাভাস
বালির তরঙ্গে ভেসে ওঠে…
কখনো বা মরীচিকা, জাদুকর আকাশের ছায়া
সহসা অলীক নদী মরূদ্যান বহুদূর দিগন্তে সাজায়।
আমি কি নির্দিষ্ট পথ ভুলে গেছি? অথবা পথের
প্রকৃত চেহারা এই? ইতস্তত কঙ্কালের সাদা
ছড়ানো ভীষণ
পরিনাম দৃশ্য চোখে পড়ে…
বালির ওপারে বালি, রৌদ্রধুধু বালির ওপারে সীমাহীন
আরও বালি, নৈঃশব্দ্য গভীর …
তবু আমি হেঁটে যাই: আমার পিছনে আসে উট –
সে আমার নিজস্ব জীবন:
আমি তাকে দড়ি ধরে নিয়ে যাই। আরও দূর
দিগন্তের দিকে …
মৃত্যু ইচ্ছা
স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় পিছনে কিছুটা সরে গেলে :
যদি কোনো বৃক্ষমুলে বসে থাকি, তবে কি সরল
শীর্ষশোভা দেখা যাবে? মাঠের সুদূরে নদী জল
যেমন মায়াবী ছবি রৌদ্রালোকে তুলে ধরে, তাকে
নিকটে কোথায় পাবো? দৃশ্যের গভীর সমতল
যদি চাই – যেতে হবে পার্বত্যপথের কোনো বাঁকে !
পাখিরা সুন্দর হয় অতিদূর মেঘে ডানা মেলে :
তাই বুঝি ইচ্ছা হয় জীবনের সীমারেখা সব
সহসা নিশ্চিহ্ন করে একেবার গভীর নীরব
ব্যবধানে সরে যাই – তারপর অন্য কোনো চোখে
দেখি চেনা ঘরবাড়ি বারান্দায় গোলাপের টব
পুরোনো জীবন কত স্পষ্ট হয় নতুন আলোকে !
ভয়ানক ইচ্ছে হয় গাঢ় লাল মেঘের বিকেলে !